লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকায় মেয়ের প্রেমিক শ্রী জলধর বর্মনকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মোঃ মমতাজ উদ্দিন ওরফে মন্তাজ আলী (৬১) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন বিজ্ঞ আদালত। সাথে ৫হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১বছর কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মিজানুর রহমান।
রোববার (৯ জুন) দুপুরে প্রদানকৃত ও রায়ে এ মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১৪জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা গেছে, ২০১১ সালে জলধর বর্মন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে দন্ডপ্রাপ্ত ওই আসামী ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্রী জলধর বর্মনের বাবা শ্রী প্রেমানন্দ বর্মন আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামালায় ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোঃ মমতাজ উদ্দিন ওরফে মন্তাজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
অপরদিকে মামলার বাকি ১৪জন আসামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সমর্থ না হওয়ায় আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, শ্রী প্রেমানন্দ বর্মনের পুত্র শ্রী জলধর বর্মন তার পরিচয় গোপন রেখে জাহাঙ্গীর নামে পরিচয় দিয়ে আসামী মোঃ মমতাজ উদ্দিন ওরফে মন্তাজ আলীর মেয়ে মোছাঃ রুমি বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে আসামি মন্তাজ আলীর অনুপস্থিতিতে জলধর রুমি বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হাতে নাতে ধরা পড়ে। পরে মোঃ মমতাজ উদ্দিন ওরফে মন্তাজ আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে জলধরের গলা কেটে দেয়ায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য যে, আলোচিত এ হত্যা মামলায় বিজ্ঞ আদালত মোট ৩৫জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে রোববার সকল আসামীর উপস্থিতিতে আলোচিত জলধর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মিজানুর রহমান। আদালত দন্ডপ্রাপ্ত মন্তাজের হাজতবাসের দিনগুলি সাজা থেকে বাদ দেয়ার রায় দেন।
লালমনিরহাট আদালত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, সাজাপ্রাপ্ত মমতাজ উদ্দিনকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।